Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ নভেম্বর ২০২০

জরিপ সংক্রান্ত অইন, বিধি-বিধান

ভূমি জরিপের স্তর ও সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা, ম্যানুয়াল, পদ্ধতি, ধারা, বিধি, সেকশন, অনুচ্ছেদ

 

ক্র:

স্তরের নাম

কার্যক্রম

সংশ্লিষ্ট আইন, বিধিমালা, ম্যানুয়াল, পদ্ধতি, ধারা, বিধি, সেকশন, অনুচ্ছেদ

কে বাস্তবায়ন করবেন বা উপস্থাপন করবেন

মৌজা জরিপের গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রচার

মহাপরিচালকের নির্দেশনার বা জেলা প্রশাসকের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারের হতে গেজেট বিজ্ঞপ্তির প্রস্তাব প্রেরণের পরে অধিদপ্তর হতে মন্ত্রণালয়ে  গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অধিযাচন প্রেরণ করা হয় এবং মন্ত্রণালয় গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৪ (১)

পরিচালক (ভূমি রেকর্ড), জেলা প্রশাসক, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার,

মৌজার জরিপের কর্মসূচীভুক্তকরণ

গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর জরিপের কর্মসূচীভুক্ত করণের জন্য অধিদপ্তরে অধিযাচন প্রেরণ করা হয় এবং সেমতে কর্মসূচীভুক্ত করা হয়।

 

পরিচালক (ভূমি রেকর্ড), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার,

সার্ভে সহায়ক নিয়োগের অনুমতি গ্রহণ

ইতোপূর্বে অনুমোদিত তালিকা হতে সার্ভেয়ারের সংখ্যা, ইটিএস মেশিনের সংখ্যা প্রভৃতি পর্যালোচনাক্রমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সার্ভে সহায়ক সেট নিয়োগের অনুমতি গ্রহণের নিমিত্ত জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক অধিদপ্তরে অধিযাচন প্রেরণ করা হয়।

 

পরিচালক (ভূমি রেকর্ড), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার,

জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলার স্থাপনের জন্য বাজেট চাহিদা প্রেরণ

মৌজার জরিপের কর্মসূচীভুক্তকরণ হলে প্রতিটি মৌজাতে কমপক্ষে ২ টি জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলার স্থাপনের জন্য উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার হতে বাজেটের চাহিদা সমগ্র জোন ভিত্তিক একত্রিকরণের পর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক অধিদপ্তরে বাজেট চাহিদা প্রেরণ করা হয়।

 

পরিচালক (প্রশাসন), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলার স্থাপন

বাজেট বরাদ্দ পাওয়ার পরে  জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক উপজেলা ভিত্তিক বিভাজনের পর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক জিওডেটিক পিলার স্থাপন করা হয়।

 

জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

স্থাপিত জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলারের স্থানাংক মান নির্ণয়ের অধিযাচন

উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক স্থাপিত জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলারের স্থানাংক মান নির্ণয়ের নিমিত্ত চাহিদা দাখিলের পর জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক অধিদপ্তরে অধিযাচন প্রেরণ করা হয়।

 

পরিচালক (জরিপ), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার, উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

স্থাপিত জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলারের স্থানাংক মান নির্ণয়

পরিচালক (জরিপ) কর্তৃক জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলারের স্থানাংক মান নির্ণয় করে দেয়ার জন্য জিএনএসএস মেশিন পরিচালনায় দক্ষ টিম নিয়োগ করেন এবং টিম কর্তৃক স্থানাংক মান নির্ণয় করে যথাযথ মান সরবরাহ করেন। উল্লেখ্য যে এক সেট জিএনএসএস মেশিন দিয়ে দিনে সব্বোর্চ্চ ৪টি পিলারের মান নির্ণয় করা সম্ভব হয়।

 

পরিচালক (জরিপ), উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

জিএনএসএস মেশিন পরিচালনায় দক্ষ টিম

সার্ভে সহায়ক নিয়োগ

অধিদপ্তর হতে নিয়োগের অনুমতি পাওয়ার ইতোপূর্বে অনুমোদিত তালিকা হতে ক্রম/ কার্ড নম্বর অনুযায়ী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক সার্ভে সহায়ক নিয়োগ করা হয়।

 

জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার ও গঠিত টিম মেম্বার

জরিপ শুরুর বিজ্ঞপ্তি প্রচার

স্থাপিত জিওডেটিক কন্ট্রোল পিলারের স্থানাংক মান পাওয়ার পর জরিপ শুরু করার জন্য মৌজা বাসীদের মধ্যে জরিপ শুরুর বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়

সার্ভে এ্যাক্ট ১৮৭৫ এর ৩ ধারা

উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সার্ভেয়ার

১০

ট্রাভার্স সার্ভে

ইলেকট্রনিক টোটাল স্টেশনের সাহার্যে সার্ভেয়ারগণ সার্ভে সহায়ক টিমের সহযোগীতায় মৌজার ট্রাভার্স করেন।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৭ (১) নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ১, চ্যাপ্টার ১।

সার্ভেয়ার ও সার্ভে সহায়ক টিম

 

১১

কিস্তোয়ার

কিস্তোয়ার অর্থ সরেজমিনে প্রতি খন্ড ভূমির নক্সা প্রণয়ন। কিস্তোয়ারের পূর্বে নোটিশসহ ব্যাপক জনসংযোগ করে কাজ শুরু করা হয়। এই স্তরে আমিন দল ভূমি মালিকগণ কর্তৃক চিহ্নিত আইল/ সীমানা অনুযায়ী প্রতি খণ্ড জমি পরিমাপ করে মৌজার নক্শা অংকন করেন যা ফারশি ভাষায় কিস্তোয়ার নামে অভিহিত। অনেকের ধারণা যে জরিপ কর্মচারীগণ জমির সীমানা ঠিক করে দেন। এ ধারণাটি সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে জরিপ কর্মচারীগণ বিদ্যমান সীমানা অনুযায়ী নক্শা প্রস্ত্তত করেন। জমির মালিকগণকে জমিতে উপস্থিত থেকে জমির সীমানা চিহ্নিত করে দেয়া একান্ত আবশ্যক।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৭ (এ) নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ২, চ্যাপ্টার ২।

উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সার্ভেয়ার ও সার্ভে সহায়ক টিম

১২

খানাপুরী

কিস্তোয়ার স্তরে অঙ্কিত নক্শার প্রত্যেকটি দাগে সরেজমিন উপস্থিত হয়ে আমিন দল জমির দাগ নম্বর দিবেন এবং মালিকের রেকর্ড, দলিলপত্র ও দখল যাঁচাই করে প্রাথমিকভাবে মালিকের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য খতিয়ানে লিপিবদ্ধ (খানাপুরী) করেন। এ স্তরে ভূমি মালিকদের প্রধান কাজ হচ্ছে যথাসময়ে নিজে জমিতে উপস্থিত হয়ে আমিনকে জমির মালিকানা ও দখল সংক্রান্ত প্রমাণাদি উপস্থাপন করে নিজ নামানুকুলে খতিয়ান প্রস্তত করিয়ে নেওয়া।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৬ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ২, চ্যাপ্টার ৩।

উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সার্ভেয়ার ও সার্ভে সহায়ক টিম

১৩

দখলকার, জমির শ্রেণি বিস্তারিত উল্লেখ

দখলকার, জমির শ্রেণি বিস্তারিত উল্লেখ করে পর্চাতে/ খতিয়ানে যথাযথভাবে যথাযথ কলামে লিখিত হয়

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৬ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সার্ভেয়ার ও সার্ভে সহায়ক টিম

১৪

বুঝারত

‘বুঝারত’ অর্থ জমি বুঝিয়ে দেওয়া। এ স্তরে নতুন আমিন দল কর্তৃক খতিয়ান বা পর্চায় জমির পরিমাণ উল্লেখ করে বিনামূল্যে উক্ত পর্চা জমির মালিককে সরবরাহ (বুঝারত) করা হয়, যা ‘‘মাঠ পর্চা’’ নামে পরিচিত। পর্চা বিতরণের তারিখটি পূর্বেই নোটিশ/ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রচার/ এলাকায় মাইকিং-এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়। পর্চা বিতরণের নির্ধারিত তারিখে ভূমি মালিকগণ নিজে উপস্থিত থেকে জরিপ কর্মচারীগণের নিকট থেকে পর্চা সংগ্রহ করবেন। ভূমি মালিকগণ পর্চার সঠিকতা যাঁচাই করে দেখবেন এবং প্রাপ্ত পর্চার ভুল-ভ্রামিত্ম সংশোধন বা পরিবর্তন আবশ্যক হলে নির্দিষ্ট বিবাদ (Dispute) ফরম পূরণ করে তা আমিনের নিকট জমা দিবেন। হল্কা অফিসার সংশ্লিষ্ট পক্ষগণের শুনানির মাধ্যমে দ্রম্নত ঐ সকল বিবাদ নিষ্পত্তি করবেন। খানাপুরী স্তরে কোন কারণে মালিকের নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য খতিয়ানে রেকর্ডভূক্ত হয়নি এমন ভূমি মালিকগণ বুঝারত স্তরে হল্কা অফিসারের নিকট আবেদনক্রমে ঐ সকল তথ্য রেকর্ড করবার সুযোগ পাবেন। ভূমি মালিকগণকে মনে রাখতে হবে মাঠ পর্যায়ে সরেজমিন রেকর্ড করার এটাই শেষ সুযোগ। এর পরেও রেকর্ড সংশোধন/ প্রণয়নের সুযোগ থাকলেও তা হবে অপেক্ষাকৃত দূরবর্তী কোন ক্যাম্প অফিসে, যা জটিল ও যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৬ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ২, চ্যাপ্টার ৫।

উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সার্ভেয়ার ও সার্ভে সহায়ক টিম

১৫

তসদিক বা এ্যাটেস্টেশন

ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে তসদিক স্তরের কাজ সম্পাদিত হয় ক্যাম্প অফিসে। খানাপুরী ও বুঝারত স্তরে খতিয়ান প্রণীত হয় মৌসুমী কর্মচারী বা আমিন দ্বারা। তসদিক স্তরের কাজ সম্পাদন করেন একজন কানুনগো বা রাজস্ব অফিসার। বুঝারত স্তরের মালিকানা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র ও প্রমাণাদি যাঁচাই করে প্রতিটি খতিয়ান সত্যায়ন করেন তসদিক অফিসার। এ স্তরে ভূমি মালিকগণ পূর্ববর্তী স্তরে প্রণীত পর্চা ও নক্শায় কোন সংশোধন প্রয়োজন মনে করলে বিবাদ (Dispute) দাখিল করতে পারেন এবং উপযুক্ত প্রমাণ উপস্থাপন করে তা সংশোধনের সুযোগ নিতে পারেন। তসদিককৃত পর্চা জমির মালিকানার প্রাথমিক আইনগত ভিত্তি (Legal Document) হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই এ স্তরের কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৮ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ৪, চ্যাপ্টার ৯।

উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার,

১৬

খসড়া প্রকাশনা (ডিপি) ও আপত্তি দায়ের

তসদিক সমাপ্তির পর কোন এলাকার জমির প্রণীত রেকর্ড [খসড়া প্রকাশনা (ডিপি)] সর্বসাধারণের প্রদর্শনের জন্য মৌজাভিত্তিক ৩০ দিন উন্মুক্ত রাখা হয়। খসড়া প্রকাশনা উন্মুক্ত রাখার সময়কাল উল্লেখপূর্বক ক্যাম্প অফিস হতে এজন্য বিজ্ঞপ্তি ও প্রচার করা হয়। ভূমি মালিকগণের নামের আদ্যাক্ষর অনুযায়ী খতিয়ান বা পর্চা ক্রমবিন্যাস করা হয় বিধায় তসদিককৃত খতিয়ানটির নম্বর পরবর্তীতে বদলে যায়। তাই তসদিককৃত খতিয়ানের নতুন নম্বর অর্থাৎ ডিপি নম্বরটি সংগ্রহের জন্যও ভূমি মালিকগণকে নিজ নিজ পর্চাসহ খসড়া প্রকাশনা (ডিপি) ক্যাম্পে উপস্থিত হতে হয়। ডিপিতে প্রকাশিত রেকর্ড ও নক্সা সম্পর্কে কারো কোন আপত্তি বা দাবী থাকলে সরকার নির্ধারিত ২০.০০ টাকার কোর্ট ফি দিয়ে আপত্তি দায়ের করা যাবে। এটাই ৩০ বিধির আপত্তি।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ২৯ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ৪, চ্যাপ্টার ১০।

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার,

১৭

আপত্তি শুনানি ও আপীল দায়ের

ডিপি চলাকালে গৃহীত আপত্তি মামলাসমূহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগণকে নোটিশ ইস্যু মারফত জ্ঞাত করে নির্দিষ্ট তারিখ, সময় ও স্থানে শুনানি গ্রহণ করে নিষ্পত্তি করা হয়। দেওয়ানী কার্যবিধি অনুসরণে এটি একটি বিচারিক কার্যক্রম। পক্ষগণ নিজে অথবা প্রয়োজনে মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে ‘‘আপত্তি অফিসারের’’ নিকট নিজ নিজ দাবী উপস্থাপন করতে পারেন। আপত্তি অফিসার পক্ষগণকে বিস্তারিত শুনানি দিয়ে, কেস নথিতে লিপিবদ্ধ ও পর্যালোচনা করে তার সিদ্ধান্ত জানাবেন এবং আইনানুযায়ী প্রস্ত্ততকৃত রেকর্ডে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনবেন। সন্তোষজনক কারণ উল্লেখ না করে কোন এক পক্ষের অনুপস্থিতিতে আপত্তি মামলা নিষ্পত্তি করার কোন বিধান নেই। 

আপত্তি রায়-এ সংক্ষুদ্ধ কোন পক্ষ ৩১ বিধিতে আপীল দায়ের করলে এ পর্যায়ে ঐ সকল আপীলের শুনানিও নিস্পত্তি করা হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আপত্তি মামলার রায়-এর নকল সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবর আবেদন দাখিলের মাধ্যমে সর্বাগ্রে উত্তোলন করতে হবে। এ জন্য সরকার নির্ধারিত নিম্নরূপ হারে কোর্ট ফি এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক কার্টিজ পেপার জমা দিতে হবে:-

বিষয়

কোর্ট ফি

(ক) আবেদনপত্র

২০.০০ টাকা

(খ) নকল (শব্দ)

  • ১ হতে ৩৬০
  • ৩৬১ হতে ৭২০
  • ৭২১ হতে ১০৮১
  • ১০৮২ হতে ১৪৪০
  • ১৪৪১ হতে ১৮০০
  • ১৮০১ হতে ২১৬০
  • ২১৬১ হতে ২৫২০
  • ২৫২১ হতে ২৮৮০

 

২.৫০ টাকা

৫.০০ টাকা

৭.৫০ টাকা

১০.০০ টাকা

১২.৫০ টাকা

১৫.০০ টাকা

১৭.৫০ টাকা

২০.০০ টাকা

আপত্তির রায় প্রদানের তারিখ থেকে (আপত্তির নকল সরবরাহের সময় বাদ দিয়ে) ৩০ দিনের মধ্যে আপীল দায়ের না করলে আবেদনটি তামাদির কারণে অগ্রহণযোগ্য হবে।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩০ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ও উপ সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

১৮

আপীল শুনানি

আপীল একটি বিচারিক কার্যক্রম এবং আপীলে ঘোষিত রায়ই চূড়ান্ত। এই স্তরে  মামলার পক্ষগণের অনুকুলে নোটিশ জারী নিশ্চিত করে আপীল অফিসার কর্তৃক আপীল মামলা শুনানী করা হয়। আপীল মামলা শুনানীর সময় প্রত্যেক পক্ষকে ভূমি মালিকানার স্বপক্ষে সুনির্দিষ্ট কাগজপত্র/ দলিলাদি উপস্থাপন করতে হয়। আপীল স্তরের পরে প্রণীত রেকর্ড বিষয়ে কেবল মাত্র তঞ্চকতা ও করণিক ভুলের অভিযোগে সেটেলমেন্ট অফিসারের নিকট প্রতিকার চাওয়া যায়।

জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৪ (৬)

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩১ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

১৯

তঞ্চকতা/ গাণিতিক ভুল/ বোনাফাইড ভুল/ ম্যাপের ভুল সংশোধন

কোনো মৌজার আপীল সমাপ্তির পর কোন ভূমি মালিক তার জমির মালিকানা সংক্রান্ত তঞ্চকতা জনিত ভুল/ গাণিতিক ভুল/ বোনাফাইড ভুল/ ম্যাপের ভুল সংশোধন এর নিমিত্ত এই স্তরে সংশোধনের জন্য সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবর আবেদন করা যায়।

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৪২ ক, ৪২খ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

পরিচালক (ভূমি রেকর্ড), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার

২০

ফাইনাল যাঁচ

এ স্তরে সকল খতিয়ানের ২ নং কলামে হিস্যা সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা? ৬ নং কলামে মোট জমি সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা? একটি দাগ বিভিন্ন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকলে প্রতিটি খতিয়ানে দাগের মোট জমি সঠিকভাবে লেখা হয়েছে কিনা? একটি দাগ বিভিন্ন খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকলে প্রতিটি খতিয়ানে অংশ লিখতে গিয়ে কম বেশী হয়েছে কিনা? দোকর হয়েছে কিনা? কোন দাগের খতিয়ান সৃজন হতে বাদ পড়েছে কিনা?, আপত্তি/ আপীল মামলার রায় যথাযথ তামিল হয়েছে কিনা? সরকারী জমি  যথাযথ খতিয়ান ভুক্ত হয়েছে কিনা? তা পরীক্ষা করা হয় এবং সঠিকভাবে লেখা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ৪, চ্যাপ্টার ১১।

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, যাচ মোহরার ও টিম

২১

ফেয়ার কপি

এ স্তরে খসড়া খতিয়ান অনেক সময় দুর্বোধ্য থাকে বিধায় জরিপের সকল স্তর শেষে প্রতিটি খতিয়ানে কি প্রিন্ট হবে তা   খসড়া খতিয়ান দেখে তার  অবিকল অনুলিপি প্রস্তত করা হয় যা ফেয়ার কপি নামে পরিচিত। মৌজার ফেয়ার কপি প্রস্তুত হয়ে গেলে তা মুদ্রণের জন্য সেটেলমেন্ট প্রেসে প্রেরণ করা হয়।

টেকনিক্যাল রুলস এন্ড ইনস্ট্রেকশন ১৯৫৭ এর পার্ট ৬, চ্যাপ্টার ১৬।

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, যাচ মোহরার ও টিম

২২

খতিয়ান ও ম্যাপ মুদ্রণ

এ স্তরে সেটেলমেন্ট প্রেস খতিয়ান মুদ্রণ করে সরবরাহ করে ও ম্যাপ মুদ্রণ প্রেস ম্যাপ মুদ্রণ করে সরবরাহ করে।

 

প্রেস অফিসার, চার্জ অফিসার

২৩

চূড়ান্ত প্রকাশনা

উল্লিখিত স্তর সমূহের কাজ সমাপ্তির পর আনুষঙ্গিক কার্যাদি সম্পন্ন করে পর্চা ও নক্শা মুদ্রণ করা হয়। মুদ্রিত নক্শা ও পর্চা পুন:পরীক্ষা করে তা চূড়ান্ত প্রকাশনায় দেওয়া হয়। চূড়ান্ত প্রকাশনার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলায় একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। চূড়ান্ত প্রকাশনার সময়কাল ৩০ দিন। এ স্তরে ভূমি মালিকগণ মুদ্রিত খতিয়ান ১০০.০০ টাকা এবং প্রতিটি নক্শা ৫০০.০০ টাকায় ক্রয় করতে পারবেন। কোন মৌজার চূড়ান্ত প্রকাশনা কোন কার্যালয়ে কবে থেকে আরম্ভ হবে সে সম্পর্কে নোটিশ/ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা / এলাকায় মাইকিং করে জানানো হয়। 

জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৪ (৭)

১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্ব বিধিমালার ৩২, ৩৩ নং বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

 

জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার,

সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার

২৪

তঞ্চকতা/ গাণিতিক ভুল/ বোনাফাইড ভুল/ ম্যাপের ভুল সংশোধন

এই স্তরে সার্ভে ও সেটেলমেন্ট ম্যানুয়াল ১৯৩৫ এর ৫৩৩, ৫৩৪ ও ৫৩৭ বিধিতে পর্চা ও নক্সার মুদ্রণ জনিত ভুল,  তঞ্চকতা/ গাণিতিক ভুল/ বোনাফাইড ভুল/ ম্যাপের ভুল সংশোধনের জন্য সেটেলমেন্ট অফিসার বরাবর আবেদন করা যায়।

সার্ভে ও সেটেলমেন্ট ম্যানুয়াল ১৯৩৫ এর ৫৩৩, ৫৩৪ ও ৫৩৭ বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

পরিচালক (ভূমি রেকর্ড), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার

২৫

চূড়ান্ত প্রকাশনা সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

এ স্তরে মৌজার জরিপ শেষ বিষয়ক গেজেট বিজ্ঞপ্তির জন্য  জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক মহাপরিচালক বরাবর প্রস্তাব প্রেরণ করা হয় এবং সে প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় হতে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

জমিদারী অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৪ (৮)

 

যুগ্নসচিব (জরিপ), পরিচালক (ভূমি রেকর্ড), জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার

২৬

মৌজার ভলিউম বাইন্ডিং ও হস্তান্তর

এ স্তরে মৌজার জরিপ শেষ বিষয়ক গেজেট বিজ্ঞপ্তির জন্য  জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক মহাপরিচালক বরাবর প্রস্তাব প্রেরণ করার সাথে সাথে মৌজার ভলিউম বাইন্ডিং করার ব্যবস্তা গ্রহণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তরের দিনক্ষণ উল্লেখ করে পত্র প্রেরণ করেন ও হস্তান্তর করেন।

সার্ভে ও সেটেলমেন্ট ম্যানুয়াল ১৯৩৫ এর ৫৫২ বিধিতে এ কাজটি করা হয়।

জেলা প্রশাসক জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার